Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কার্যক্রম সারা দেশে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে প্রকল্পের মেয়াদ ও বরাদ্দ। এসব পরিবর্তন আনতে চলমান এই প্রকল্পটি দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধন করা হয়েছে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেকের চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

গ্রামীণ সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিটি বাড়িকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্বতন্ত্র কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তোলা এবং ২০১৫ সালের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

প্রকল্পটি প্রায় এক হাজার ২০০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৪ জুন মাস মেয়াদে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়। পরবর্তী পর্যায়ে প্রকল্পের মেয়াদকাল এক বছর কমিয়ে প্রাক্কলিত ব্যয় এক হাজার ৪৯৩ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়। প্রথম সংশোধিত প্রকল্পটির কার্যক্রম দেশের মোট এক হাজার ৯৩২টি ইউনিয়নে চলমান আছে। এখন তা আবার সংশোধন করে এর কার্যক্রম দেশের সব ইউনিয়নে (চার হাজার ৫০৩টি ইউনিয়ন) বিস্তৃত করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় সংশোধনীতে প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ১৬৩ কোটি টাকা এবং মেয়াদ বেড়েছে জুন ২০১৬ পর্যন্ত। 

একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক জরিপের ভিত্তিতে গ্রামের দরিদ্র মানুষের জন্য গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন সৃষ্টি করে সুফল ভোগীদের দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, ঋণ, অনুদান ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে দরিদ্রদের মধ্যে দুগ্ধবতী গাভি, মৎস্য, হাঁস-মুরগি ও ফসলের বীজ বিতরণ অব্যাহত আছে।

একনেক সভায় গতকাল এটিসহ মোট চার হাজার ৫৩২ কোটি টাকার ১০টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে তিন হাজার ৯২৮ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এবং অবশিষ্ট ৬০৪ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য থেকে মেটানো হবে।

সভায় অনুমোদিন অন্য প্রকল্পগুলো হলো ৫২ কোটি টাকার মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প, ৪৩ কোটি টাকার নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্প, ১১০ কোটি টাকার দেশের বিদ্যমান জেলা স্টেডিয়ামগুলোর সংস্কার উন্নয়ন (প্রথম পর্যায়) প্রকল্প, ১৪০ কোটি টাকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ক্ষুদ্র চাষিদের জন্য কৃষি সহায়ক প্রকল্প, ৪১ কোটি টাকার ভূ-উপরিস্থ পানি উন্নয়নের মাধ্যমে সেচ কর্মসূচি প্রকল্প, ৫৬৪ কোটি টাকার পানি ও উৎপাদন খাতের উন্নতি করে টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প, ২০৭ কোটি টাকার কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদীর ওপর ৯৫০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্প, ১১০ কোটি টাকার সেচের গভীর নলকূপ থেকে পাইপের মাধ্যমে খাবার পানি সরবরাহ প্রকল্প এবং ১০২ কোটি টাকার