0
এটি সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের রায়ের গাও গ্রামের পশ্চিমে অবস্থিত।
বর্ষা কালে এই হাওরে চারদিকে পানিতে তলিয়ে যায়।
এছাড়াও অনেক ধরনের নৌকা এই হাওরের সৌন্দর্য অনেকগুণ বাড়ীয়ে দিয়েছে।
রায়ের গাও নামের উৎপওি সম্পর্কীয় ইতিহাস আজো রহস্যাবৃত। এ সম্পর্কে এখনও কোন প্রামান্য দলিল পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র স্থানীয় জনশ্রতিই এর একমাত্র ঐতিহাসিক এবং তাও কোন কোন ক্ষেত্রে বিতর্কিত। অনেকের মতে কোন ব্যক্তি বিশেষের বিশেষ করে কোন রাজা,বাদশাহ,স্থানীয় শাসক কিংবা বিজেতের নাম গোলাপগঞ্জ নামের সঁঙ্গে জড়িয়ে আছে। ‘শ্রী গৌরাঙ্গের পূবাঞ্চল পরিভ্রমন এবং আসাম ও ঢাকাদক্ষিণ লীলা প্রসঁঙ্গ’ গ্রন্থে উল্লেখ পাওয়া যায়,পাঠান আমল থেকে সিলেট জেলায় দেওয়ান পদ বিশিষ্ট একজন স্থানিয় রাজস্ব কর্মকর্তা অবস্তান করতেন। তিনি ছিলেন দিললী সম্রাটের প্রতিনিধি।রাজা গীরিষ চন্দ্রের পূর্ব পুরুষগন বহুদিন যাবত এ পদে বহাল পর পাঠান সম্রাট শের শাহের পুত্র ইসলাম শাহ শুরের রাজত্বকালে ১৫৪০ সালে গোলাব রায় নামে একজন নতুন দেওয়ান এপদে নিযুক্তি লাভ করেন। তিনি ছিলেন খুবই ধর্মপরায়ন ব্যক্তি,তাঁরই নামানুসারে ‘গোলাবগঞ্জ” নামের সৃষ্টি হয়। পরবর্তিতে ‘গোলাবগঞ্জ” থেকে “গোলাপগঞ্জ” নামে পরিচিতি লাভ করে।পূবে থানা প্রশাসন ছিল হেতিমগঞ্জ। ১৯০৬ সালে তদানীন্তন বৃটিশ সরকার সুরমা বিধৌত উপকুলবর্তী অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিজরিত এক মনোরম স্থান গোলাপগঞ্জ বাজারের সন্নিকটে থানা কার্যালয় স্থানান্তরিত করেন।
আনোয়ার শাহজাহান রচিত 'গোলাপগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য' গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৯৬ সালে এবং এটিই ছিল রায়ের গাঁও হাওর নিয়ে প্রথম ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস